Posts

Showing posts with the label কবিতা
Image
"আজকাল" রাজনীতি আর ধর্মেতে ভাগ হয়ে দলে দলে। দিনে দিনে দেশটা যাচ্ছে দেখো রসাতলে।। আপন ধর্মের মাঝে আবার নানান দল মত। মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে খুঁজে পেতে সঠিক পথ।। ধর্মের নামে রাজনীতির নামে চললে নোংরা খেলা। সে-ই খেলায় পিষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষ মেলা।। কি লাভ হচ্ছে দেশে এতো করে ওয়াজ নছিয়ত। ভোরে মুয়াজ্জিনের আযানে হয়না মসজিদে জমায়ত।। এখন ওয়াজ নছিয়তে বলেনা নামাজ রোযার কথা। ইচ্ছে মতো প্রতিপক্ষ কে গালি দেয় বক্তা।। রাজনৈতিক নেতা কল্যাণের নামে করে গলাবাজ। আসল চরিত্র তাহার হলো একজন ধান্দা বাজ।। ফেইজবুক ওয়ালেতে বাড়ছে অনেক ধর্ম প্রচারক। আসলে নয় তো তারা প্রকৃত ধর্মের বাহক।। জিয়াউল হক

কষ্টের কথা ছন্দে ছন্দে

Image
যাদের মনে কষ্ট তাদের জন্য নিবেদন। "দুঃখবোধ" জিয়াউল হক দুঃখ আপন সঙ্গের সাথী সঙ্গে থেকে ঘুরে। জনম সাথী  দুঃখ আমার ছাড়ে না তো মোরে। জনম জনম সাথে থেকে বসত করে বুকে। বুকের ভিতর ময়না পাখি ছটফট করে শোকে। আকাশ জুড়ে  জোসনা তারা ঝলমল চাঁদের আলো। আমার জীবন দুঃখ ভরা মেঘে ঢাকা কালো। সবারে আমি ভালবাসি করি না তো ক্ষতি। কেন সবাই দুঃখ দিয়ে থামায় জীবন গতি। ইচ্ছে করে আকাশেতে পাখির মতো  উড়তে। দুঃখ ছেড়ে মুক্ত হয়ে সুখি জীবন গড়তে।  ৫ই নভেম্বর ২০১৮ কবিতা একশত ষাট 

বাংলা কবিতা উদ্দেশ্য নেই

Image
"উদ্দেশ্যে নেই" জিয়াউল হক একেক টা বাস আসে কেউ উঠে নামে যাত্রী আর খুলির পদচারণা মুখরিত। সবার যার যার মতো ছুটে চলে উদ্দেশ্য লক্ষ্য যে খানে সেই যাওয়ার কথা। কেউ কপালে হাত রেখে বলে ইস এক মিনিটের জন্য হারালাম।  আবার বাস এলো সেই চলে যায় তার গন্থব্য। হইত কয়েক মিনিটের  দেরি। এই বিড়ম্বনা সেই হতাশ তারপরও তো সেই কর্মে পিড়ে,বাড়ি ফিরে,নীড়ে ফিরে। এই হল প্রতিদিনের নিয়মের ষ্টেশন,বাস ষ্টেশন আমি ও প্রতিদিন এইখানে আসি তবে কোথাও যেতে নয় দেখতে। মানুষের ছুটাছুটি কর্মব্যস্ততা কবিতা একশত ছাপান্নো  ৯ই অক্টোবর ২০১৮

বলছি হে ভাই শুনো

Image
এক কাছের বন্ধু টাকা চাইল কিন্তু দিতে পারিনি তবে আমার যা আছে তা দিলাম ছন্দে ছন্দে। "কর্জ" জিয়াউল হক বলছি হে ভাই শুনো তোমায় দিতে পারব না টাকা। এই কারণে আমায় তুমি করিও না বকা ঝকা। কথা যখন দিলাম আমি সত্যি তোমায়  দিতাম ধার। মধ্য মাসে ঝামেলা পড়ে করতে পারছিনা উপকার। মনে আছে এখনও বিপদ আপদে তোমার ধার দেনা। ভাবনা তো কভু এমন বিপদে বন্ধু হল চেনা। সত্যি বন্ধু লজ্জিত দুঃখিত ছিল না তো কিছু জমা। বন্ধুর বিপদে লাগেনি নিজ গুনে কর ক্ষমা। কবিতা একশত চুয়ান্ন ৬ই অক্টোবর ২০১৮

বাচ্চারা ফিরে যাও

Image
"বাচ্চারা ফিরে যাও" জিয়াউল হক বেশ,বেশ,হয়েছে আন্দোলন সারা জাতির ঘুমন্ত বিবেকে হয়েছে জ্বলন। বাচ্চারা এবার যাও ফিরে ঘরে তোমাদের উপর শুকুনে নজর করে। একাত্তর বয়ান্নে ছিল উপ...

পাবলিক বাস।

Image
"পাবলিক বাস" জিয়াউল হক জং ধরা রং করা থর থর চলছে এখন ও রাস্তায় তার চাকা ঘুরছে। পাবলিক বাস,পাবলিক বাস পাছায় হাত সর্বনাশ। মধ্যবিত্ত গরীবের এই পরিবহণ মাথায় ঝুলানো নষ্ট ফ্যান গরমে দহন। গ্লাস সীট ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাড়তি ভাড়া কথার দাঙ্গা। আসেন ভাই টেনে তুলেন যান যান পিছনে চেপে বসেন। বসে আর দাঁডিয়ে বাস পরিপূর্ণ ড্রাইভার চোখে দেখে শূন্য। যাত্রী সকল উঠে যখন চিল্লায় তখন আস্তে আস্তে যায়। ঝন ঝন থর থর এইবার চলছে কানাখন্দে পড়ছে। ঘাম আর গন্ধ নিঃশ্বাস হয় বন্ধ দান করেন বাবা আমি অন্ধ। খবরের কাগজ গামছা কার দরকার নেন ভাই নেন মিষ্টি সুস্বাদু ঘরের আচার। পাবলিক বাসে চলি মধ্যবিত্ত এতসব অভিজ্ঞতা নিত্য।

আমি সড়ক থেকে বলছি।

Image
"আমি সড়ক থেকে বলছি" জিয়াউল হক আমি ট্রাফিক সিঙনাল হয়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে হাত পেতে অনিয়ম কে নিয়ম করেছি। আমি বাসের হেলপার হয়ে টেনে টেনে যাত্রী তুলেছি। আমি মালিক হয়ে অতি লোভে ফিটনেসবিহীন  লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভারের হাতে গাড়ির তুলে দিয়েছি। আমি শ্রমিক কল্যাণের নামে চাঁদা তুলে ভাগবাটোয়ারা করে আপনা পকেট ভরেছি। আমি জায়গায় জায়গায় সব ব্যবস্থা করে, নিয়ম কানুন কানুন কে অনিয়ম করেছি। আমি উম্মাদ হয়ে হাতে মৃত্যু নিয়ে ছুটি। আমি পাল্লা দিয়ে ছুটে হাত উপড়ে ফেলি আমি ফুট ফাটে তুলি দিয়ে চাপিয়ে মারি। আমি ঘুমের গুরে নেশার গুরে ছুটে চলি। আমার কিসের ভয়,হয়,যত ক্ষয়। তিনি তারা আছেন ছুটে আসবেন। দুই এক দিন মানিনা মানবনা মিছিল হয়। তারপর সব রয়। এইভাবে চলছে আমার সড়ক পরিবহণ সস্তায় হয় জীবন হরণ। আর কত এইবার রুকু জেগেছে ছাত্র জেগেছে জাতির বিবেক। যা আমার দেখার যা আমার শুনার যা আমার আমাদের করার। তা তুমি করেছ তোমরা করে দেখিয়েছ। চোখে আঙ্গুল দিয়ে বলেছ গাড়ি চালাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগে গাড়ির ফিটনেস লাগে,আইন মানার লাগে। কবিতা একশত পয়তাল্লিশ ২রা আগষ্ট ২০১৮