Posts

Showing posts with the label প্রবাস জীবনের গল্প ও কবিতা

প্রবাসীদের জন্য নিবেদন কবিতা প্রবাস

Image
"প্রবাস" জিয়াউল হক দেওয়ালহীন এক জেলখানা নাম তার প্রবাস। সভ্য এই পৃথিবীতে আমরা নব্য দাস। আমাদের কর্ম দাতা তিনি হুকুম দার। ইচ্ছা অনিচ্ছা ভাল লাগা সবই তার। তার পরিবার পরিজনের আমি সেবা দাসী। সব অন্যায় সহ্য করি  আমার পরিবারের  ফুটাতে হাসি। কবিতা একশত ঊনষাট  ৩০শে অক্টোবর ২০১৮

প্রবাসীর দেশে যাওয়া ও ফিরে আসার গল্প...

Image
"যাত্রা" জিয়াউল হক দেশে যাওয়ার আনন্দ ফিরে আশার দুঃখ অনুভব হয় না। দেড় যুগের যাত্রায় সেই নতুন কি বিমান ভ্রমণের ক্লান্তি,ভোগান্তি আগের মত প্রতিবাদী হয় না। প্রথম বার যখন আমি দেশে যায় তার ছয় মাস আগে থেকে ফোন করে করে সবাই কে জিজ্ঞেস করলাম কার কি লাগবে। কত কি সেই তো বলে শেষ করা যাবে না। নিজের সবটুকু উপার্জন দিয়ে চেষ্টা করেছি সাধ্যের মধ্যে ছিল না তাই অনেকের কিছু কিছু চাওয়া পূরণ হয়নি। ভিষণ রাগ অভিমান মনের মাঝে বদলে যাওয়ার মুখোশ সেই দিন দেখেছি। শুধু একটি মানুষ কে খুশি করতে পেরেছি। অথচ তার জন্যে তেমন কিছু নেওয়া হয়নি তারপর তিনি খুশি মহাখুশি। কে সেই জানেন মা আমার মা। প্রবাসীদের দেশে যাওয়া ফিরে আশার গল্পটা অনেকের এমন  কেউ নতুন করে জানে কেউ পুরাতন অভ্যস্ত।  ২৫শে অক্টোবর ২০১৮ কবিতা একশত আটান্ন

প্রবাস জীবনের গল্প।

Image
জুতা" জিয়াউল হক ভাই এই জুতা গুলো দেখান তো এই টা না উপরের দিকে ডানের ও টা সদ্য পিতা হয়েছে প্রবাসী মাহমুদ ইন্টারেটের কল্যাণে পুত্র সন্তানের মুখ দর্শন হয়েছে। মন চাই নব পুত্রকে খুলে নিতে আদর করে কপালে ছুমা খেতে নরম হাতের ছুঁয়া পেতে। জীবনের এহেন শ্রেষ্ট মুহুর্ত অধরা থেকে গেল স্বপ্ন শুকিয়ে গেল এমন হাজার ও প্রবাসীর স্বপ্ন শুকিয়ে মরুভূমির বালি কণার মধ্যে চিকচিক করে প্রতিনিয়ত। হ্যাঁ ঠিক আছে দিন বয়স কত? এক মাস এটা শূন্য থেকে তিন মাসে বয়সী বাচ্চাদের জন্য মাহমুদ সাহেব চকলেট রংঙের জুতা খুব মনে  ধরেছে। ভাই এই টা প্যাকেট করে দিন দামাদামি ছাড়া বোধ মাহমুদ সাহেব এই প্রথম কিছু বাজার থেকে কিনে আনলেন। জুতা নিয়ে তার বাসায় ছুটে চলে যতদূর পথ হেঁটেছে জুতা প্যাকেট খুলে খুলে দেখেছে ভেবেছে ছেলের পায়ে কেমন মানাবে,দেখতে কেমন লাগবে, ইস বাড়ি গেয়ে জুতা যদি বাবুর ছোট ছোট পায়ে পড়ে দিতে পারতাম,আচ্ছা সাইজে মিলবে তো আরো কত কি। মাহমুদ জুতা কেনার পর মন বড় অশান্ত হয়েগেল নব পুত্র কে খুলে নিতে কাছে পেতে ব্যাকুল হয়েগেল বার বার পুত্র মুখ ভেসে উঠে। ভাবতে লাগল কি করে কিভাবে বাড়িতে পাঠাবে জুতা। জুতা পায়ে...

প্রবাস কথন...

Image
"প্রবাস কথামালা" জিয়াউল হক হাজার কান্না চোখে বহে বন্যা কেউ দেখে না প্রবাসীর বুকে কত ব্যাথা  কেউ খুঁজে না। যদি জানতে চাও দেখ মরুভূমি বুকে কত যন্ত্রণায় ব্যাথায় জ্বলছে ধুকে ধুকে। শত কষ্টে বলে  আমি আছি বেশ এইভাবে মিথ্যা বলে বলে জীবন করে দিচ্ছে শেষ। ভাবে না কখন ও নিজের জন্যে সকাল থেকে সন্ধ্যা কেটে যাচ্ছে যোগাতে সংসারের অন্যে। রাত যত গভীর হয় প্রিয় মুখ গুলো কথা কয়। হৃদয়ে জাগে যখন তারা স্মৃত্রি গুলো তখন দিয়ে যায় নাড়া। দিন যায় মাস যায় বছর আকাশের দিকে চেয়ে থাকি। আর ক্যালেন্ডারের পাতা গুনি ছুটির আমার কয় টা মাস আছে বাকী। এইভাবে একদিন মাস বছর শেষ হল টিকেট হাতে এল যেতে হবে বাড়ি। লাগবে কার কি ফোন করে বল তারাতাড়ি। বাচ্চাকাচ্চা এই টা সেই টা কত বায়না বউ বলে লাগবে সোনাদানা গয়না বেতন যাহা ফেলাম ছিল যত জমা সব কিছু নিলে আর পকেটের অবস্থা ভাল না। এইবার ফিরে গেলাম বাড়ি সবাই বলে ব্যাগেজ খুলো তাড়াতাড়ি। কেউ পেয়ে হল খুশি আবার কেউ করে দোষী। তিন বছরের জানতে চাই যখন হিসাব অবশিষ্ট নাই কিছু জানিয়ে দিল সাব। ধার দেনা করে ছুটি পার করে আবার পথ ধরলাম প্রবাসের তরে...