হায় হায় কোটা গেল
"হায় হায় কোটা গেল"
বাংলাদেশে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে সারাদেশের চাকরি প্রার্থী আর ছাত্রদের আনন্দোলনের ফলে কোটা বাতিল হয়েগেল। আজ সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে চূডান্ত ভাবে জানিয়ে দিল কোটা ওয়ালা বোল্ড আউট।কোন কোটা চলবে না মেধা চলবে।
এতে কোটা বিরুদ্ধে আনন্দোলনকারীরা খুশি হল নাকি ভেজার হল কিছু বুঝলাম না।
খুশি হলে নিশ্চয় আনন্দ মিছিল করত প্রধানমন্ত্রী কে ধন্যবাদ দিত।যতটুকু জেনেছি তারা নাকি বুঝতেছে ব্যাপার টা কি।এর কারণ কি? চাইলাম মেঘ এখন দেখি ঝুম ঝুম বৃষ্টি। সংস্কার চাইল আর সরকার বাহাদুর বাতিল করে দিল একেবারে ক্লিন বোল্ড। কোথায় বুঝতে যায় কার কাছে বুঝে দেশবাসী অবগত আছে মালুম আছে।আশাকরি সরকারী গোয়েন্দা সংস্থা পায়ে পায়ে নকে নকে নজর রাখছে।
এইদিকে মুক্তিযুদ্ধার ছেলে মেয়ে নাতিপুতিরা ভেজাল লাগাল সরকারি চাকরিতে ৩০%কোটা বাতিল তারা মেনে নিতে পারছেনা খুব ব্যাতিত পূর্বে হুমকি ছিল মুক্তিযুদ্ধ কোটা বাতিল হলে আনন্দোলন করবে।
কোটা বাতিলের পরের দিন প্রজ্ঞাপন জারি এই যেন কফিনের শেষ পেরেক ডুকিয়ে দিল হায়, হায় কি হল, গেল গেল সবই। রাস্তায় নামল জনা কয়েক মুক্তিযুদ্ধার নাতীপুতি রাস্তার নাম শাহাবাগ চত্বর।এই রাস্তার মোড় দখল করতে পারলে হল এই রাস্তার চত্বর দখল করে এই দেশে বহু আনন্দোলন সফলতা পেয়েছে সর্বশেষ ক, তে,স,তে,ন,তে, ইত্যাদি শ্লোগান দিয়ে ফাসির দাবি আদায় ও কার্যকর বড় সাফল্য। তখন লাখ লাখ মানুষ নেমে এসেছিল রাতদিন শাহাবাগে অবস্থান করল।তখন এই দেশের এক শ্রেণীর মানুষ কি করল শাহাবাগ আনন্দোলনের পিছনে পড়ল তারা কি করে শাহবাগের জমায়েত নিয়ে অপ্রচারের লিপ্ত হল।বিরানী পাটি টাকা দিয়ে সরকারের সহয়তা লোক নিয়ে আসা সহ ধর্ম বিরুধী নানা কথাবার্তা অপ্রচার পেইজবুক জুড়ে চালিয়ে এইদেশের সহজ সরল মানুষেরদের বুঝাতে চাইল এরা নাস্তিক ধর্ম বিরুধী। তারা কারা? সবর্শেষ ছাত্রদের নিরাপদ সড়ক চাই আনন্দোলনে হত্যা আর ধর্ষনের গুজব তুলে ফেইজবুকের মাধ্যমে সারাদেশ জুড়ে প্রচারণা চালায় কারা?
আজকে শাহাবাগ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের কোটা বাতিলের বিপক্ষে মুক্তিযুদ্ধা,তাদের ছেলে মেয়ে নাতিপুতিরা আনন্দোলনের ডাক দিল লোক সমাগম হল না জনা কয়েক আপনারা। মানে সুজা আনন্দোলন জমে নাই।আপনাদের জনাকীর্ণ লোকের ছবি আজ সারাটা দিন ফেইজবুকে হাসিতামাশার খোরাক ছিল তারা ওয়ালে নানা ঢংঙ্গের নানা মতের কথাবার্তা বলেছে।মনে হল এই যেন বিরাট বিজয় সুখের আ, হা, হা, তারা কারা জানেন তারা ওরা যারা এই দেশের স্বাধীনতা চাইনি তারা এবং তাদের উত্তরসূরী।ঐ সব লোক যারা শাহবাগে রাজাকারের ফাসিরদাবীর বিরুদ্ধে। সর্বশেষ ছাত্র আনন্দোলনে মিথ্যা গুজব রটিয়ে ছিল।
আপনাদের এইভাবে ছোটকরে কেউ হাসিতামাশা করলে আমার ও আমাদের অন্তরে লাগে হৃদয়ে লাগে।আমি মনে করি আপনাদের আনন্দোলন করার দরকার নাই মুক্তিযুদ্ধোরা জীবন বাজি রেখে সাহস আর মেধা দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছে আপনারা তাদের উত্তরসূরী আপনারা মেধা দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্টিত করুন কারো দয়া ভিক্ষায় নয়।কোন কোটার মাধ্যমে নয়।আর একটা কথা মনে রাখবেন ভয় পাওয়ার কিছু নেই মনে সাহস রাখেন এই সময়ের মুক্তিযুদ্ধাদের সব চেয়ে বড় অভিভাবক রাষ্ট ক্ষমতাই আছে।
Comments
Post a Comment