ইয়েমেনের শিশু হত্যা বন্ধ কর।
কিছু দিন আগে আকাশের দিকে থাকালাম দেখি পরিপূর্ণ একটি চাঁদ পূর্ণিমা রাত আমি যে শহরে থাকি ল্যাম্পপোষ্টের আলো আর এত ঝলমলে বিজলি বাতি চাঁদের আলো মাটিতে স্পর্স করে না।তাই প্রেমিক চোখে পূর্ণিমা আমার দেখা হয় না।
সম্প্রতি যুদ্ধরত ইয়েমেনে ৮৫হাজার শিশু অনাহারে মারাগেছে খবর টি আমার হৃদয় কে নাড়া দিয়েছে ক্ষত বিক্ষত করেছে আকাশ দিকে থাকালাম দেখি ঝলমলে পূর্ণিমার চাঁদ আকাশের চাঁদ কে রুটি নিজেকে ইয়েমেনের শিশু রূপ দারণ করলাম।
"ইয়েমেনি শিশু"
জিয়াউল হক
এক পূর্ণিমার রাতে আকাশের দিকে থাকিয়ে
ইয়েমেনে এক শিশু বলে হে খোদা বড় রুটি টা আমাকে দাও।
আমি যে কতো রাত দিন অনহারে ক্ষুদায়
আমার পেটে জ্বলে।
তুমি তো দয়ালু অনাহারীর দাও আহার তবে কেন আমার প্রতি অবিচার।
তুমি কি দেখ না আমার হাড্ডিসার দেহ।
বুকের পাজর গুলো শুকিয়ে মন মরে করে হাহাকার।
তুমি আমার সৃষ্টিকর্তা তুমি আমার লালন পালনকর্তা।
আমায় তো কেউ লালন করেনা পালন করে না।
দু মুঠো খাবার তুলে দেয়নি ক্ষুদার যন্ত্রণায় কান্নায় চোখের পানি শেষ।
তবু তোমায় মানি নেই কোন অভিযোগ।
আমার যতো অভিযোগ এই দুনিয়ার নিষ্টুর শাসকের প্রতি।
আমার বেঁচে থাকার প্রার্থনা তোমার দরবারে।
খোদা দয়াময় আমায় কবুল কর আমার মুখে খাবার দাও।
আর না হয়।
নিয়ে যায় তোমার দরবারে খেলা করবো জান্নাতের শিশুদের সাথে।
তখন আকাশ থেকে ঝলসানো এক টুকরো দেয়ে আসে।
ইয়েমেনি শিশু ভাবে খোদা তার প্রার্থনা কবুল করেছে।
আকাশের বড় রুটি টা তার খাওয়ার জন্য পাঠাইছে।
রুটি যতো নিচের দিকে আসে তার ছোট ছোট হাত গুলো তত উপর উঠে।
রড় রুটি টা আসল ছোট্ট হাতে স্পর্স হতে ভিকট শব্দে হাড্ডিসার দেহটা মাঠিতে মিশে গেল।
কবিতা একশত আটষট্টি ।
Comments
Post a Comment