প্রবাস থেকে ১০০০০টাকা পাঠিয়ে বুঝেনিন ১০২০০টাকা
হ্যালো প্রবাসী ভাই খবর শুনেছেন।
হ্যালো প্রবাসী বন্ধুরা একটা খবর শুনেছেন।দাড়ান দাড়ান তার আগে হাত উঠান দেশে কে কে টাকা পাঠান ও মা সব হাত দেখি উপরে।এইবার নামান, কে কে টাকা পাঠান না তারা উঠান তাজ্জব একটা হাত ও উপরে উঠে নাই তার মানে সবাই টাকা পাঠান মাশল্লাহ,মাশল্লাহ।
আমি একটা খবর শুনেছি তা আপনাদের বলি শুনেন বাংলাদেশ সরকার চলতি বছর ১লা জুলাই থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাস থেকে দেশে টাকা পাঠালে শতকরা ২% করে প্রণোদনা দিবে সোজা কথা একশত টাকা পাঠালে আপনাকে দিবে ১০২টাকা আবার কোন প্রকার ফি ও লাগবে না মানে প্রণোদনা থেকে কোন টাকা কাটা যাবেনা যা লাভ তা নগদ।
হ্যাঁ শুনেছি তবে এইসব ঝামেলা লাগে বরং আমাদের জন্য বিমানবন্দরের হয়রানি বন্ধ করতে বলেন একটু সম্মান দিলে হলো।ভাই গো আপনারা ঝামেলা কেন মনে করেন একটু ভেবে দেখুন হিসাব করুন লাভ হবে ক্ষতি নয়।
একটা সহজ হিসাব করুন একজন সাধারণ প্রবাসী প্রতিমাসে ঘর খরচ,দু ঈদের বাড়তি টাকা ,পারিবারিক ছোট অনুষ্ঠান, বিবাহ শাদী, আত্নীয় স্বজন কে সহযোগিতা নানা প্রয়োজনে দেশে টাকা পাঠাতে হয় যদি সর্বনিম্ন হিসাব দরি তিন লাখ টাকাহবে।
হে প্রবাসী আপনাকে বলছি এই তিন লাখ টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে পাঠালে আপনি প্রণোদনা পাবেন ছয় হাজার টাকা মানে পাঠালেন তিন লাখ পেলেন তিন লাখ ছয় হাজার টাকা।
না ভাই একবছরে এই ছয় হাজার টাকা দিয়ে কি হবে বাদ দেন। আচ্ছা আরেক একটা হিসাব করি আপনি যদি পঁচিশ বছর বিদেশ করেন ততদিনে নিশ্চয়ই আপনার বেতন বাড়বে দেশে খরচ ও বাড়বে আবার সরকার এই প্রণোদনার হার ও বাড়াতে পারে যদির কথা বাদ দেন আজকের হিসাবে তিন লাখে প্রণোদনা ছয় হাজার, পঁচিশ কে ছয় দিয়ে গুণ করেন, হলো গেয়ে একলাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা। এইবার আপনি আপনার পূর্ববর্তী প্রবাসীদের গেয়ে জিজ্ঞাস করুন টাকা পাঠিয়ে দেশে গেয়ে কত টাকা তার পরিবার তারজন্য সঞ্চয় করে রাখে তার হাতে কত টাকা তুলে দেন। আশাকরি ব্যাপার টা পরিস্কার হয়েছে, একবার ভেবে দেখবেন।
একজন প্রবাসী মূলত হয়রানির অভিযোগ করে বিমানে ও বাংলাদেশ বিমান বন্দরে। বিশেষ করে মালামাল বুকিং,সেই গুলো দেশে গেয়ে খালাস করা নিয়ে। বিমানের ক্ষেত্রে আমরা অভিযোগ করি বুকিংয়ের সময় ঝামেলা করে।তা আমরা চাইলে তা এড়াতে পারি।ব্যাগেজ ৪০কেজি, হাত ব্যাগেজ ৭ কেজি কাটনের বিমান কতৃক নিদিষ্ট সাইজ এই নিয়ম মানলে বুকিংয়ে কোন ঝামেলা হয় না।আর দেশের আইন অনুয়ায়ী কাষ্টম ফি অন্তর্ভুক্ত মালামালে বিমানবন্দরে নিদিষ্ট কাউন্টারে প্রদান করুন তাহলে বিমান বন্দরের ঝামেলা অধের্ক থাকে না, আমরা অনেকে কি করি ৪০কেজির জায়গায় ৪২ কেজি ভরি কাটনের সাইজ ঠিক মতো নিয়ে যায় না বিমান কতৃক পক্ষের কাছে বার অনুরোধ করি ছাড় দেওয়ার জন্য এইখান থেকে শুরু হয় ঝাপটা ঝাপটি জরিমানা অথবা ওজন কমিয়ে পার হলেন এইবার কি করলেন ডিউটি ফ্রি থেকে ইচ্ছা মতে দু হাত পুরো মালামাল নিলেন এমন অবস্থা বিমান পর্যন্ত হেটে যেতে পারেন না কোমর বাঁকা হয়ে যায়।শুরু হয়ে গেল লকারে রাখার যুদ্ধ বিমানে সব যাত্রী উঠার পর ও লকারের মালামাল গুছানোর জন্য বিমান ছাড়তে ২০/৩০ মিনিট দেরি হয়ে যায়।৩২"টিভি কাষ্টম ফ্রি আপনি নিলেন ৪০" মোবাইল ২ টি নেওয়া যাবে, নিলেন ৫ টি, স্বর্ণ ১০০ গ্রাম পর্যন্ত কাষ্টম ফ্রি নিলেন ২০০ গ্রাম।এইবার কি উপায় কাষ্টম ফাঁকি দিয়ে আস্তে আস্তে বিমান বন্দর ত্যাগ করতে চান আমি স্বীকার করি বন্দরে কিছু শকুন আছে তারা তো আপনার উপর নজর রাখছে শুরু হয়ে গেল টানা হেছরা। আমরা চাইলে এই ঝামেলা এড়াতে পারি,সঠিক নিয়ম মেনে।
দুই দিন আগের পত্রিকায় দেখলাম অর্থ মন্ত্রী ২% প্রণোদনা বিষয় কথা বলেছে তিনি জানিয়েছেন ১লা জুলাই থেকে কার্যকর হবে তবে ২% প্রণোদনা কিভাবে প্রদান করবে তার সুনিদিষ্ট নীতিমালা এখন চূড়ান্ত হয়নি।
এইখানে আমি একটি প্রস্তাব করছি আপনারা পড়ে দেখেন আর একটু ভাবুন যুক্তি মনে হলে সকল প্রবাসী মিলে ভাইরাল করুন।প্রবাসীরা যে এক্সচেঞ্জ কোম্পানি অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠায় সেইখানে প্রাপকের ব্যাংক হিসাব দিতে হয় সেই হিসাবে টাকা জমা হয়।আমার প্রস্তাব হচ্ছে পাশাপাশি প্রাপকের হিসাবের সাথে প্রেরকের একটা হিসাব নাম্বার যুক্ত থাকবে।বাংলাদেশ মূল প্রেরিত টাকা টা প্রাপকেরা হিসাবে প্রেরণ করবে আর প্রণোদনা অর্থ সরাসরি প্রেরকের অর্থাৎ প্রবাসীর ব্যাংক হিসাব নাম্বারে যুক্ত হবে। তিনি যখন চাইবে এই টাকা নিজ হিসাব থেকে নগদ উত্তোলন করতে পারবে। সোজা কথা প্রতি বছর যে প্রবাসী তিন লাখ টাকা দেশে পাঠান, সরকারি প্রণোদনার ছয় হাজার টাকা প্রেরণকারী ব্যক্তির ব্যাক্তিগত হিসাবে জমা থাকবে।
প্রবাসের বসে আজেবাজে কত কি শেয়ার করেন যদি এই টুকু নিজের স্বার্থ বুঝতে পারেন তাহলে শেয়ার দিবেন।
Comments
Post a Comment