Posts

কানে কানে কথা কয় নারী.........

Image
কান কথা নিয়ে এইবারের আঞ্চলিক ভাষায় নিবেদন "কান কথা" জিয়াউল হক কানে কানে কথা কয় নারী ন গইজ্জু মন ভারী। ভাল মত থাক মিশি ন গইজ্জু কানে কানে পিসি পিসি। বউ শাশুড়ি যদি থাক মিলেমিশি সুখ আইবি ঘরত দিবানিশি। কি লাভ ঘরের কথা পররে কয় মানুষ হুনি তো মজা লয়। আরো কিরে হাচা মিচা তাল মিশায় পাড়া পাড়া ঢোল বাজাই। বাইজ্জুক কথা আর কান ফুসন্নি এই দুয়েন হইল নীরব খুনি। মাইনষ্যুর দুয়ারত বয় পান চাবাই চাবাই ঘরের কথা কয় প্যাচ লাগাই কি পাইলে শান্তি, আরে হচে সৃষ্টি গরি অশান্তি। আঞ্চলিক কবিতা চার ২৫ই জুলাই ২০১৮

নয়নে নয়নে দেখা হয় তোমারে।

Image
"হৃদয়ে নাম" জিয়াউল হক কাগজে কলমে লিখিনি এই জনমে। হৃদয়ে লিখি একটি কবিতা সেই কবিতার ছন্দে ছন্দে সবই তোমার কথা। নয়নে নয়নে দেখা হয় তোমারে হাওয়াই উড়াই স্বপ্নের ডানেরে। তুমি আমার নিঃশ্বাস দমে দমে প্রতিক্ষণে ক্ষণে ভালবাসা জমে। কাগজে কলমে লিখিনি এই জনমে। কবিতা একশত আটচল্লিশ ২৩শে আগষ্ট ২০১৮

একটি মেয়ে দৌড়ে বাসে উঠে বৃষ্টিতে অর্ধেক ভিজে.............

Image
"সহযাত্রী" জিয়াউল হক ঈদের বাকি আর দুই দিন কেনাকাটা হয়নি সকালে বান্দরবান থেকে চট্টগ্রাম শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম। চট্টগ্রাম থেকে কেনাকাটা সেরে আবার গ্রামের বাড়ি যেতে হবে সন্ধ্যার আগে। আমার কাছে কেনাকাটা সব চেয়ে খুব কঠিন মনে হয় দোকানদারের সাথে দর কষাকষি খুব বিরক্ত লাগে, না করে কোন উপায় নেই এক হাজার টাকার কাপড় পাঁচ হাজার টাকা হাকাতে তাদের বাধে না আবার ঈদের মৌসুম একদিকে টিপ টিপ বৃষ্টি দুশ্চিন্তায় আছি কি করে কি করব। বান্দরবান থেকে বাসে যাত্রা করলাম আমার পাশে সীট খালি ব্যাগ টা ওখানে রাখলাম সামনে একটি কাউন্টার থেকে যাত্রী উঠাবে তারপর বিরতিহীন চট্টগ্রাম শহরে। নিদিষ্ট কাউন্টারে গেয়ে বাস থামে একটি মেয়ে দৌড়ে বাসে উঠে বৃষ্টিতে অর্ধেক  ভিজে যা তা অবস্থা হাতে একটি  ট্রাভেল ব্যাগ আমার পাশে সীটে এসে বসল। হাত ব্যাগ থেকে মোবাইল বাহির করে মোবাইলের সুইচ বন্ধ করে দিল দেখতে খুব ক্লান্ত, মনে হয় অনেক রাত ঘুমাইনি সীটে হেলান দিয়ে চুল বিলিয়ে দিল। তিন ঘন্টার যাত্রা বাস দ্রুতগতিতে ছুটে চলে এই প্রথম কোন অপরিচিত মেয়ের পাশে বসলাম ডান চোখে  বান্দরবানের পাহাড়ের অপার সৌন্দর্য আর বাম চোখে ...

বঙ্গবন্ধু পরিষদ দুবাই আয়োজন করে ডাউ ক্রোজ নৌভ্রমণ উপলক্ষ্য চট্টগ্রাম মহানগর যুব লীগের আহবায়ক মহিদ্দীন বাচ্চু

Image
"নৌভ্রমণ" জিয়াউল হক রাজা রাজ্য পরিচালনা করতে করতে  ক্লান্ত হলে ভ্রমণে বাহির হত আনন্দ বিনোদন ব্যবস্থা করতেন রাজা বাদশাদের ভ্রমণের পছন্দের তালিকায় নৌ-বিহার ছিল অন্যতম । সুন্দরী রাণী উজির নাজির সেনাপতি বাদ্যদল তার সঙ্গী হতেন আনন্দ উল্লাস তিনি করতেন সেবা দাসীরা খেদমতে মশগুল থাকতেন। রাজা বাদশার যোগ আর নাই দিন বদলেছে তবে রাজা বাদশাদের শখের নৌ-বিহার রয়ে গেছে ইচ্ছে করলে যে কেউ নৌ-বিহারে যেতে পারেন সাথে তাদের পরিবার পরিজন সঙ্গীনিদের নিতে পারেন জন্মদিন,বিবাহ,যে কোন উৎসব আয়োজন দলীয় আলোচনা সংবর্ধনা নেতারা কর্মীদের সাথে নিয়ে আনন্দ উৎসব করে মন কে চাঙ্গা করে। গত শুক্রবার রাত নয় টা বঙ্গবন্ধু পরিষদ দুবাই আয়োজন করে ডাউ ক্রোজ নৌভ্রমণ উপলক্ষ্য চট্টগ্রাম মহানগর যুব লীগের আহবায়ক মহিদ্দীন বাচ্চু ভাই তিনি সম্প্রতি দুবাই ভ্রমণে আসে মূলত ওনাকে আনন্দ দেওয়ার জন্য পরিষদের নেতাদের সাথে আমরা কর্মীরা সঙ্গী হলাম একগেঁয়েমি প্রবাস জীবনে বেশ একটি আনন্দময় দিন গেল তার  খুঁটিনাটি কিছু বিষয় মোবাইলে টাইপ করলাম। আমাদের আগে সিনিয়র নেতারা উপস্থিত সচারচর এমন হয় না আমরা তাদের দেখে লজ্জিত হলাম হিসাবে আমাদের ...

তুমি এলেনা।

Image
কবিতা তুমি এলেনা আবৃত্তি জিয়াউল হক

বাংলাদেশ।

কবিতা বাংলাদেশ জিয়াউল হক

ফ্লাই দুবাই চাই চাটগাঁত।

Image
নিজের মায়ের ভাষা প্রাণের প্রিয় চট্টগ্রামের ভাষায় চট্টগ্রামের মানুষের দাবি নিয়ে গীত কবিতা লেখার চেষ্টা করেছি কেউ যদি পারেন সূর দিন উন্মুক্ত । "আবার ফ্লাই দুবাই চায় চাটগাঁ ত " জিয়াউল হক আরা চাটগাঁইয়া অল বাড়ির যাইতাম ফ্লাই দুবাই গরি ফ্লাই দুবাই বন্ধ হইয়ি আরা কেনে উড়ি। আরা কেনে উড়ি। ফ্লাই দুবাই আছিল সস্তা আরা বাড়ির যাইতাম প্রতি সপ্তাহ। মা বাপের মুখকান চাইতাম কইলজে আন ঠান্ডা গরতাম। আরা চাটগাঁইয়া অল বাড়ির যাইতাম ফ্লাই দুবাই গরি ফ্লাই দুবাই বন্ধ হইয়ি আরা কেনে উড়ি। আরা কেনে উড়ি। বিপদ আপদ,উৎসব হইলি, বাড়ির যাইয়ুম বলি। খুশি আছিল মন প্রাণ পইত্তিন যাইতু চাটগাঁ ফ্লাই দুবাইয়ের বিমান। হঠাৎ গরি ফ্লাই দুবাই বন্ধ হইয়ি বিমানে সুযোগ লই টিকেটের দাম বাড়াই দিইয়ি। আরা এখন সস্তা কেনে যাই বাড়ি আরা কেনে উড়ি আরা চাটগাঁইয়া অল বাড়ির যাইতাম ফ্লাই দুবাই গরি ফ্লাই দুবাই বন্ধ হইয়ি আরা কেনে উড়ি। আরা কেনে উড়ি। আরা চাটগাঁইয়া আলার এক্কান দাবি ফ্লাই দুবাই আরা লই আবার কত্তে চাটগাঁও যাবি। কত্তে চাটগাঁও যাবি কত্তে চাটগাঁও উড়ি যাবি। কবিতা একশত আটত্রিশ ৪ইজুলাই ২০১৮

বাচ্চারা ফিরে যাও

Image
"বাচ্চারা ফিরে যাও" জিয়াউল হক বেশ,বেশ,হয়েছে আন্দোলন সারা জাতির ঘুমন্ত বিবেকে হয়েছে জ্বলন। বাচ্চারা এবার যাও ফিরে ঘরে তোমাদের উপর শুকুনে নজর করে। একাত্তর বয়ান্নে ছিল উপ...

পাবলিক বাস।

Image
"পাবলিক বাস" জিয়াউল হক জং ধরা রং করা থর থর চলছে এখন ও রাস্তায় তার চাকা ঘুরছে। পাবলিক বাস,পাবলিক বাস পাছায় হাত সর্বনাশ। মধ্যবিত্ত গরীবের এই পরিবহণ মাথায় ঝুলানো নষ্ট ফ্যান গরমে দহন। গ্লাস সীট ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাড়তি ভাড়া কথার দাঙ্গা। আসেন ভাই টেনে তুলেন যান যান পিছনে চেপে বসেন। বসে আর দাঁডিয়ে বাস পরিপূর্ণ ড্রাইভার চোখে দেখে শূন্য। যাত্রী সকল উঠে যখন চিল্লায় তখন আস্তে আস্তে যায়। ঝন ঝন থর থর এইবার চলছে কানাখন্দে পড়ছে। ঘাম আর গন্ধ নিঃশ্বাস হয় বন্ধ দান করেন বাবা আমি অন্ধ। খবরের কাগজ গামছা কার দরকার নেন ভাই নেন মিষ্টি সুস্বাদু ঘরের আচার। পাবলিক বাসে চলি মধ্যবিত্ত এতসব অভিজ্ঞতা নিত্য।

আমি সড়ক থেকে বলছি।

Image
"আমি সড়ক থেকে বলছি" জিয়াউল হক আমি ট্রাফিক সিঙনাল হয়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে হাত পেতে অনিয়ম কে নিয়ম করেছি। আমি বাসের হেলপার হয়ে টেনে টেনে যাত্রী তুলেছি। আমি মালিক হয়ে অতি লোভে ফিটনেসবিহীন  লাইসেন্সবিহীন ড্রাইভারের হাতে গাড়ির তুলে দিয়েছি। আমি শ্রমিক কল্যাণের নামে চাঁদা তুলে ভাগবাটোয়ারা করে আপনা পকেট ভরেছি। আমি জায়গায় জায়গায় সব ব্যবস্থা করে, নিয়ম কানুন কানুন কে অনিয়ম করেছি। আমি উম্মাদ হয়ে হাতে মৃত্যু নিয়ে ছুটি। আমি পাল্লা দিয়ে ছুটে হাত উপড়ে ফেলি আমি ফুট ফাটে তুলি দিয়ে চাপিয়ে মারি। আমি ঘুমের গুরে নেশার গুরে ছুটে চলি। আমার কিসের ভয়,হয়,যত ক্ষয়। তিনি তারা আছেন ছুটে আসবেন। দুই এক দিন মানিনা মানবনা মিছিল হয়। তারপর সব রয়। এইভাবে চলছে আমার সড়ক পরিবহণ সস্তায় হয় জীবন হরণ। আর কত এইবার রুকু জেগেছে ছাত্র জেগেছে জাতির বিবেক। যা আমার দেখার যা আমার শুনার যা আমার আমাদের করার। তা তুমি করেছ তোমরা করে দেখিয়েছ। চোখে আঙ্গুল দিয়ে বলেছ গাড়ি চালাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগে গাড়ির ফিটনেস লাগে,আইন মানার লাগে। কবিতা একশত পয়তাল্লিশ ২রা আগষ্ট ২০১৮

হজ্বব্রত।

Image
"হজ্বব্রত" জিয়াউল হক অদৃশ্য দীর্ঘ বিরতির পর আপনাদের সামনে আবার হাজির হল এইবারের বিষয় হজ্ব ব্রত। আগের পোষ্ট গুলো অনেকে হইত ভুলেগেছেন বা মনে আছে প্রবাস বিরায়ানী,স্যালসম্যান,দিঘির কান্না,চিঠি,এই বিষয়ের অদৃশ্য সিরিয়াল লেখা গুলো আপনাদের কাছ থেকে যথেষ্ট সারা পেয়েছি অনেকে পেইজবুকে লাইক কমেন্ট দিয়ে ও ব্যাক্তিগত ভাবে আমাকে ভাল লাগার কথা জানান আপনাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রহিল। কথা না বাড়িয়ে এই বার আজকের বিষয়টা নিয়ে এগিয়ে যায় বলে রাখি অদৃশ্য সিরিয়ালের সব লেখা বাস্তব জীবনে আপনার আমার আশে পাশে ঘটে যাওয়া নিজের চোখে দেখা শুনা থেকে গল্প আকারে সাজাতে চেষ্টা করি। অদৃশ্য সভা সমাবেশে যাওয়া ব্যাক্তিগত খুব একটা পছন্দ করেনা নিহায়েত শুধু সময় কাটানোর জন্য মাঝে মধ্য উপস্থিত হয় কারণ এইখানকার সমাবেশ গুলোতে দীর্ঘ বক্তিতা অপ্রসাঙ্গিক কথা বার্তা খুব বিরক্তকর আজকে অদৃশ্য যে সভাটি উপস্থিত হয় তাহা ছিল ভিন্ন প্রাণবন্ত উপস্থাপকের দক্ষ পরিচালনায় অনুষ্টান আরো প্রাণবন্ত উপভোগ্য হয়ে উটে যদি রাজনৈতিক দলের সভা এমন সভা অদৃশ্য আগে যাহা দেখেনি। সকল নেতা নেতৃবৃন্দের পর সভাপতি আসলেন বক্তিতা দেওয়ার জন্য  সুধ...

প্রবাস জীবনের গল্প।

Image
জুতা" জিয়াউল হক ভাই এই জুতা গুলো দেখান তো এই টা না উপরের দিকে ডানের ও টা সদ্য পিতা হয়েছে প্রবাসী মাহমুদ ইন্টারেটের কল্যাণে পুত্র সন্তানের মুখ দর্শন হয়েছে। মন চাই নব পুত্রকে খুলে নিতে আদর করে কপালে ছুমা খেতে নরম হাতের ছুঁয়া পেতে। জীবনের এহেন শ্রেষ্ট মুহুর্ত অধরা থেকে গেল স্বপ্ন শুকিয়ে গেল এমন হাজার ও প্রবাসীর স্বপ্ন শুকিয়ে মরুভূমির বালি কণার মধ্যে চিকচিক করে প্রতিনিয়ত। হ্যাঁ ঠিক আছে দিন বয়স কত? এক মাস এটা শূন্য থেকে তিন মাসে বয়সী বাচ্চাদের জন্য মাহমুদ সাহেব চকলেট রংঙের জুতা খুব মনে  ধরেছে। ভাই এই টা প্যাকেট করে দিন দামাদামি ছাড়া বোধ মাহমুদ সাহেব এই প্রথম কিছু বাজার থেকে কিনে আনলেন। জুতা নিয়ে তার বাসায় ছুটে চলে যতদূর পথ হেঁটেছে জুতা প্যাকেট খুলে খুলে দেখেছে ভেবেছে ছেলের পায়ে কেমন মানাবে,দেখতে কেমন লাগবে, ইস বাড়ি গেয়ে জুতা যদি বাবুর ছোট ছোট পায়ে পড়ে দিতে পারতাম,আচ্ছা সাইজে মিলবে তো আরো কত কি। মাহমুদ জুতা কেনার পর মন বড় অশান্ত হয়েগেল নব পুত্র কে খুলে নিতে কাছে পেতে ব্যাকুল হয়েগেল বার বার পুত্র মুখ ভেসে উঠে। ভাবতে লাগল কি করে কিভাবে বাড়িতে পাঠাবে জুতা। জুতা পায়ে...

আরার ধুরুং খালের বাঁধ চাই।

Image
নিজের গাঁয়ের একটি দাবি নিয়ে আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা। "আরার ধুরুং খালের বাঁধ চাই" জিয়াউল হক ঠাডার মারি আসমান গরে গুরুম গুরুম চোখের তুন গেয়ে গো যে ঘুম। আবার পুলি উঠের ধুরুম খাল পানি আইবু,ভাল নলার। ঈদুর আগে পানি উঠি  লয় গেইয়ে ভাসাই। ঘর বাড়ি কিচ্ছু নাই  এহন মাইষুর দোয়ারে টাবাই। আরার তোন অভাব ন আছিল  ক্ষেতর তরকারি,পরুর মাছ,বিলুর ধান। বানর পানিত বিয়াজ্ঞিন হারায়  হনে মতে জান বাচাই। জোয়ান বুড়া বিয়াগুনো কয়  ধুরুম খাল এইল্লে গোসসা কোন দুন নো অ। কি ব্যাপার ? ধুরুম খাল র পানি কিল্লে ঘর ত যার ভাবি চিনতে চগো। হত মানুষ,নেতা খেতা আইস সি, ছাই গেয়ি ধুরুম খালের বান নো কন্দি ভাং গি। ভাংগা বান লয় কেনে ঘুম যায় আরা বান বাধি ব লাই,ন দেখি লরাছড়া তোয়ারার কাছে দাবি গরি ধুরুম খালের বান বাধি দও তারাতরি। কবিতা একশত ঊনচল্লিশ  ৫ই জুলাই ২০১৮

দুবাইত দিয়ে সাধারণ ক্ষমা..

Image
সম্প্রতি আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মুহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুম এর প্রচেষ্টায় আরব আমিরাতে অবৈধ প্রবাসীদের জন্য নিদিষ্ট সময়ের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন।  তা নিয়ে চট্টগ্রাম ভাষাভাষীদের জন্য আমার নিবেদন  "দুবাইত দিয়ে সাধারণ ক্ষমা" জিয়াউল হক  দুবাই সরকার দিয়ে  সাধারণ ক্ষমা।  বাড়িত য গো  অ মনা। ভিসা পতাকা ছড়া  ঘুইজ্জু বহুত দিন। শেখ মুহাম্মদ দিয়ে  এইবার তোয়ার লাই সুদিন। বাড়িত চাইলে যাইত পারিবে,জেল কাডন পইত্তনু জরিমানা ছাড়া চাইলে হইত পারিবে বৈধ ডাকে পাগে ছোট বড় বদ্দা অলে  এই কথাগান কয় দয়। কিয়া কিয়া কয় বাংলাদেশীর ভিসা বন্ধ লাগাইয়ুম কনদি। ভিসা খুলা আছে যে উনিশ কেটাগরি কন্সেল জেনারেলে কইয়ে লাগাইত পারিবে এন্দি উনিশ কেটাগরি কি  বিস্তারিত লয় জানি। ঘরের তকবক,মালি,উট চরানি আরবীর সেবক। বাকিগিন কইতু গেলে চোখে আইয়ি পানি। কিয়া কিয়া কয়  বাড়িত কেনে যাইয়ুম হনা। এম্বাসীর তুন পেপার লয়  ইমিগ্রেশনু তোন শীল মারি আইয়ুনা। তোয়ারে দশ দিনুর দিবু  অকগো সময়। এইবার বাজার সাজার গরি  বা...

প্রবাস কথন...

Image
"প্রবাস কথামালা" জিয়াউল হক হাজার কান্না চোখে বহে বন্যা কেউ দেখে না প্রবাসীর বুকে কত ব্যাথা  কেউ খুঁজে না। যদি জানতে চাও দেখ মরুভূমি বুকে কত যন্ত্রণায় ব্যাথায় জ্বলছে ধুকে ধুকে। শত কষ্টে বলে  আমি আছি বেশ এইভাবে মিথ্যা বলে বলে জীবন করে দিচ্ছে শেষ। ভাবে না কখন ও নিজের জন্যে সকাল থেকে সন্ধ্যা কেটে যাচ্ছে যোগাতে সংসারের অন্যে। রাত যত গভীর হয় প্রিয় মুখ গুলো কথা কয়। হৃদয়ে জাগে যখন তারা স্মৃত্রি গুলো তখন দিয়ে যায় নাড়া। দিন যায় মাস যায় বছর আকাশের দিকে চেয়ে থাকি। আর ক্যালেন্ডারের পাতা গুনি ছুটির আমার কয় টা মাস আছে বাকী। এইভাবে একদিন মাস বছর শেষ হল টিকেট হাতে এল যেতে হবে বাড়ি। লাগবে কার কি ফোন করে বল তারাতাড়ি। বাচ্চাকাচ্চা এই টা সেই টা কত বায়না বউ বলে লাগবে সোনাদানা গয়না বেতন যাহা ফেলাম ছিল যত জমা সব কিছু নিলে আর পকেটের অবস্থা ভাল না। এইবার ফিরে গেলাম বাড়ি সবাই বলে ব্যাগেজ খুলো তাড়াতাড়ি। কেউ পেয়ে হল খুশি আবার কেউ করে দোষী। তিন বছরের জানতে চাই যখন হিসাব অবশিষ্ট নাই কিছু জানিয়ে দিল সাব। ধার দেনা করে ছুটি পার করে আবার পথ ধরলাম প্রবাসের তরে...